পাকিস্তান হাই কমিশনের আরেক কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করেছে ভারত। বুধবার (২১ মে ) ওই কর্মকর্তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ত্যাগের নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি ও বিভিন্ন সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
এর আগে ১৩ মে, পাকিস্তান হাই কমিশনের অন্য আরেক কর্মকর্তাকে ভারতে গোয়েন্দাগিরিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বহিষ্কার হয়েছিলেন। এই পদক্ষেপগুলো ভারত-পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনার মধ্যে নেয়া হল।
বুধবার, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (MEA) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারত সরকার দিল্লিতে পাকিস্তান হাই কমিশনে কর্মরত এক পাকিস্তানি কর্মকর্তাকে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করেছে। তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। তবে, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাকিস্তানি নাগরিকের বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রকাশ করেনি।
এছাড়াও, নয়া দিল্লিতে পাকিস্তানের হাই কমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে একটি সতর্কতা নোটিশ দিয়েছে, যাতে তিনি তাকে ভারতীয় মাটিতে কর্মরত কোনো পাকিস্তানি কূটনীতিক বা কর্মকর্তা ‘তাদের বিশেষ (কুটনৈতিক) সুবিধা এবং দাপ্তরিক সম্মান ও মর্যাদার অপব্যবহার’ না করেন।
১১ মে, পাঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে যে, তারা পাকিস্তান হাই কমিশনে কর্মরত এক কর্মকর্তার সঙ্গে যুক্ত দুই ব্যক্তিকে একজন নারীসহ ‘গোয়েন্দাগিরিতে জড়িত’ থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে, পাকিস্তান পরে ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই কমিশনের এক কর্মীকে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করেছে, যিনি ‘তার বিশেষ দাপ্তরিক সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে অমিল’ এমন কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন।
বিপরীত দিকে পাকিস্তান সরকার ভারতীয় হাই কমিশনের এক কর্মীকে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করেছে, যিনি তার বিশেষ দাপ্তরিক সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে অমিল এমন কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন’ ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে ৬ ও ৭ মে রাতের মধ্যে, ভারত অপারেশন সিঁদুর নামে পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মীরকে নয়টি অবকাঠামোতে আক্রমণ করে। এটি ছিল ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ২৬ পর্যটকের মৃত্যুর প্রতিক্রিয়া ।
ভারতের অপারেশন সিন্দুর দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনা বাড়িয়ে দুই দেশের মধ্যে হামলা এবং পাল্টা হামলার দিকে নিয়ে যায়।
১০ মে, ভারত ও পাকিস্তান স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রে যুদ্ধ বিরতিতে পৌঁছায় যা ওই দিন ৫টা থেকে কার্যকর হয়।
খুলনা গেজেট/এএজে